আজ ৮ মে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সকালে জাতীয় ও রেড ক্রিসেন্ট পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হবে। এসময় সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য, মহাসচিব, উপ-মহাসচিব, সোসাইটির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত থাকবেন।
উল্লেখ্য, ১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্টের প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ডুনান্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ডুনান্টকে স্মরণ করার জন্য প্রতি বছর তার জন্মদিনকে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিও বিশ্বের অন্যান্য জাতীয় সোসাইটির ন্যায় যথাযথ গুরুত্ব ও মর্যাদা সহকারে দিবসটি পালন করছে।
সংস্থাটি জানায়, এবারের বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবসের থিম ‘অপ্রতিরোধ্য’। সবাই মিলে একত্রে এই পৃথিবীকে আরও সংক্ষিত এবং আরও শান্তিপূর্ণ জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতি প্রতিশ্রুতি ও চেষ্টা সবসময় অব্যহত থাকবে। এ ব্যাপারে সবাই অপ্রতিরোধ্য হিসেবে কাজ করে যাবে।
রেড ক্রিসেন্ট জানায়, রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা ১৯২টিরও বেশি দেশে কাজ করে যাচ্ছেন। বড় শহরগুলো থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকার মানুষদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন নানা ধরনের মানবিক সহায়তা। সেই সঙ্গে মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যে মানবতার শক্তি অবিরাম, অপ্রতিরোধ্য।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন মানবিক সেবার সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক, যার আওতায় লক্ষ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবী ও কর্মী বিশ্বব্যাপী একসাথে কাজ করে চলেছেন মানবতার মহান ব্রত নিয়ে। এই আন্দোলনের মৌলিক নীতিমালার ব্যাপকতা যেকোনো ভৌগলিক সীমারেখা, সাংস্কৃতিক আচার ও ধর্মীয় অনুশাসনের ঊর্ধ্বে। রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য দুর্যোগ ও সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদান।
১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি আদেশে ১৯৭৩ (পিও-২৬) জারি করেন। এই আদেশের বলে, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ‘বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি’ স্বীকৃতি লাভ করে। এরপর, ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২০ সেপ্টেম্বর রেডক্রসের ২২তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তেহরানে বাংলাদেশ রেড ক্রস সোসাইটি আন্তর্জাতিকভাবে পূর্ণ স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে সংগঠনটির নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি’ রাখা হয়।